কুমিরডাঙা থেকে তাস, লুডো, দাবা, প্রদর্শনীতে খেলার সেকাল-একাল।।
আজকের আধুনিক বিষয় - খেলা (খেলার সেকাল - একাল)
শুধুমাত্র বিনোদন বা ‘টাইমপাস’ নয়, খেলাধূলার সঙ্গে জডিয়ে থাকে কোনো সভ্যতার ইতিহাসও।
খেলাধূলা মানেই ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টন শুধু নয়, অলস দুপুরের বাড়ির অন্দর মহলে বসে তাস, লুডো, দাবার আসর, পাড়ার ওলি-গলির ব্যস্ততা বাড়িয়ে জমে ওঠা কুমিরডাঙা, খো খো, ডাংগুলির মতো আঞ্চলিক খেলাগুলিও আমাদের সমাজ, শৈশব ও ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।
কিন্তু আজ সেসব এখন অতীত।।
আধুনিক যুগে হাড়িয়ে যাওয়া ছোটবেলা র স্বপ্ন । |
বর্দ্ধমান সহ বিভিন্ন শহরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এমন অনেক খেলাই আজ হারিয়ে গিয়েছে স্মার্টফোনে অ্যানড্রয়েড গেম আর বেড়ে চলা প্রতিযোগিতামূলক দৈনন্দিন ব্যস্ততার চাপে।
: আজকের আধুনিক বিষয় - খেলা (খেলার সেকাল - একাল)
#raHulch ; Instagram - rahulch_016 ;
Website - rahulchatterjeebwn.blogspot.com
Facebook id - https://m.me/rahul.chatt.016
Whats app - 9800450363
একটা সময় ছিল, যখন পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবের আড্ডায় জমে উঠত তাস কিংবা ক্যারামের আসর। কোথাও কোথাও সেসব ঘরােয়া খেলাকে ঘিরে প্রতিযােগিতারও আয়ােজন হতাে। চলত টুর্নামেন্ট। সে সব দিন এখনও ফিকে হয়ে যায়নি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাকে গ্রাস করছে মােবাইল গেম।
ঘরে বসে যে গেমে মেতেছে নতুন প্রজন্ম তার বিস্তার এখন চার দেওয়ালের বাইরেও। গ্রামে গ্রামে এখন চলছে মােবাইল গেমের টুর্নামেন্ট। পাবজি’ গেমে এখন দেদার উড়ছে হাজার হাজার টাকা। ক্রিকেট, ফুটবল ছেড়ে এখন জেলায় জেলায় পাবজি খেলতে ছুটছে মােবাইলপ্রেমীরা।
পরিস্থিতি এমনই, ফেসবুকে নিজেকে ‘পাবজি সােলজার হিসেবেও পরিচয় দেওয়ার সংখ্যা কম নয়।
কীভাবে চলছে এই টুর্নামেন্ট? যাঁরা এই মােবাইল গেমে আসক্ত, সেসব খেলােয়াড়দের কথায়, পাবজি’র সৈনিকরা সর্বাধিক ২৫টা স্কোয়াড গড়ে খেলতে নামে।
এক একটি স্কোয়াডে চারজন করে থাকতে পারে।
চারখানা ম্যাপ থাকে খেলার জন্য।
যাঁরা খেলেন, তাঁরা নিজেদের রণকৌশল ঠিক করতে ভয়েস চ্যাট করেন।
ম্যাপ শেষ করতে লাগে বড়জোর ৩০ মিনিট।
যে দল জেতে, তারা পুরস্কার পায়।
এক একটি স্কোয়াডে চারজন করে থাকতে পারে।
চারখানা ম্যাপ থাকে খেলার জন্য।
যাঁরা খেলেন, তাঁরা নিজেদের রণকৌশল ঠিক করতে ভয়েস চ্যাট করেন।
ম্যাপ শেষ করতে লাগে বড়জোর ৩০ মিনিট।
যে দল জেতে, তারা পুরস্কার পায়।
কারা আয়ােজন করেন এই গেমের? অংশই বা নেন কারা? পাবজিতে যাঁরা বুদ, তাঁদের কথায়, পাড়ায় আগে ও উড়ছে দেদার টাকা যেভাবে ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচের আয়ােজন করা হতাে, সেভাবেই পাবজি কার গড়ে উঠছে ও প্রতিযােগিতার আয়ােজন করা হচ্ছে। মাথাপিছু গড়ে ১৫০
টাকা দিয়ে সেই খেলায় নাম লেখাতে হয়। যেহেতু এটি ভার্চুয়াল গেম, তাই ঘরে বসে বা বাইরে আসর সাজিয়েও প্রতিযােগিতা করা যায়। অংশ নিতে হলে অনলাইন বা
ই-ওয়ালেটে জমা করতে হয় টাকা। কোন কোন খেলােয়াড় পাবজিতে দক্ষ, সেই খবরও রাখেন অংশগ্রহণকারীরা। ফলে তাঁদের দলে নিতে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। দক্ষ প্লেয়ারকে ভাড়া নিতে ভালাে দরও দেওয়া হয়, বলছেন পাবজি খেলােয়াড়রা।
পুরস্কার হিসেবে জয়ী দল সাধারণত পায় পাঁচ থেকে কুড়ি হাজার টাকা। রীতিমতাে স্টেজ সাজিয়ে মাইক বাজিয়ে হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।এই টুর্নামেন্টকে জমকালাে করতে লাখ টাকার স্পনসরশিপেরও রমরমা বাড়ছে।
টাকা দিয়ে সেই খেলায় নাম লেখাতে হয়। যেহেতু এটি ভার্চুয়াল গেম, তাই ঘরে বসে বা বাইরে আসর সাজিয়েও প্রতিযােগিতা করা যায়। অংশ নিতে হলে অনলাইন বা
ই-ওয়ালেটে জমা করতে হয় টাকা। কোন কোন খেলােয়াড় পাবজিতে দক্ষ, সেই খবরও রাখেন অংশগ্রহণকারীরা। ফলে তাঁদের দলে নিতে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। দক্ষ প্লেয়ারকে ভাড়া নিতে ভালাে দরও দেওয়া হয়, বলছেন পাবজি খেলােয়াড়রা।
পুরস্কার হিসেবে জয়ী দল সাধারণত পায় পাঁচ থেকে কুড়ি হাজার টাকা। রীতিমতাে স্টেজ সাজিয়ে মাইক বাজিয়ে হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।এই টুর্নামেন্টকে জমকালাে করতে লাখ টাকার স্পনসরশিপেরও রমরমা বাড়ছে।
তবে এনিয়ে চিন্তিত এই প্রজন্মের অভিভাবকরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযােগ, শুধু পাবজি খেলা নয়, এর জন্য পড়াশােনা ও মনঃসংযােগ সবেতেই ব্যাঘাত ঘটছে। অনেকেই স্কুল বা কলেজ না গিয়ে এতেই মেতে থাকছে।
স্কুল পড়ুয়া পাবজি খেলােয়াড়রা এত বেশি টাকার সন্ধান
পাচ্ছে, তাতে তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতি যেদিকে এগচ্ছে,
তাতে এই সঙ্কট কাটানাের কিনারা পাচ্ছেন না অনেক অভিভাবকই। যেহেতু মােবাইল গেমটি নিষিদ্ধ নয়, তাই
তার টুর্নামেন্ট আটকাতে প্রশাসনেরও কিছু করার নেই,
এমনটাই বলছে সংশ্লিষ্ট মহল।।।
স্কুল পড়ুয়া পাবজি খেলােয়াড়রা এত বেশি টাকার সন্ধান
পাচ্ছে, তাতে তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতি যেদিকে এগচ্ছে,
তাতে এই সঙ্কট কাটানাের কিনারা পাচ্ছেন না অনেক অভিভাবকই। যেহেতু মােবাইল গেমটি নিষিদ্ধ নয়, তাই
তার টুর্নামেন্ট আটকাতে প্রশাসনেরও কিছু করার নেই,
এমনটাই বলছে সংশ্লিষ্ট মহল।।।
প্রযুক্তিতে মগ্ন শৈশব, খেলার ইচ্ছে আর কই !