Sunday, 10 November 2019

১৫২৮ থেকে ২০১৯: রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ

Rahul Chatterjee ,নিজস্ব প্রতিবেদন,10thNov;10.0AM:-
১৫২৮ থেকে ২০১৯ রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের ইতিহাস:
১৫২৮ থেকে ২০১৯: রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের ইতিহাস
বাবরি মসজিদের ধংস রূপ

                          রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ 

"মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে’— করসেবকদের স্লোগানই সত্যি হল।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই তৈরি হতে চলেছে রামমন্দির।যে ২.৭৭ একর জমিতে ১৯৯২-র ৬ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল সাড়ে চারশো বছরের বেশি পুরনো  বাবরি মসজিদ।

    রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের ইতিহাস 

•১৫২৮- মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি বাবরি মসজিদ তৈরি করেন। হিন্দুদের কিছু সংগঠন দাবি করতে শুরু করে মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে এই মসজিদ। ১৮৫৩ সালে প্রথম এই ইস্যুতে বিরোধ বাঁধে।


• ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশরা একটি প্রাচীর দিয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের প্রার্ধনার জায়গা আলাদা করে দেয়। এভাবেই ৯০ বছর ধরে প্রার্থনা চলছিল।

• ১৯৪৯-এ প্রথম এই জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতে যায়। সেইসময় রামের মূর্তি স্থাপন করা হয় মসজিদের ভিতরে।

• ১৯৮৪-তে রাম মন্দির গড়ার দাবি নিয়ে হিন্দুদের একটি কমিটি তৈরি হয়। তিন বছর বাদে একটি জেলা আদালত নির্দেশ দেয়, যাতে ওই বিতর্কিত এলাকা হিন্দুদের প্রার্থনার জন্য খুলে দেওয়া হয়। 
মুসলিম রা তৈরি করে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি

• ১৯৮৯,১৪ আগস্ট - এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়,বিতর্কিত স্থানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে।

• ১৯৯০, ২৫ ডিসেম্বর- বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি মন্দির তৈরির সমর্থনে গুজরাটের সোমনাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু করেন।
হিন্দুদের বিশ্বাস,তাদের দেবতা রাম ওখানে জন্ম নিয়েছে। 

• ১৯৯২ সালে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা মসজিদটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
তখন দাঙ্গায় দুই হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন ,
দেশ জুড়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়।
১০ দিন বাদে তৈরি হয় তদন্ত কমিটি। ১৭ বছর বাদে ২০০৯ সালে সেই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয়।

• ২০০৯- এ এই মামলার জন্য আদালত সাতজন হিন্দু নেতাকে তলব করে, লখনউতে মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতীর বিরুদ্ধে মামলা চলে। এবছরের জুলাই মাসে ডেডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ৯ মাসের মধ্যে এই মামলার রায় ঘোষণা হয়।

• ২০১০-এ এলাহবাদ হাই কোর্ট একটি রায় দেয়। তাতে বলা হয় ওই বিতর্কিত জমি তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। নির্মৌহী আখড়া, রাম লাল্লা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

বিভিন্ন আইনী জটিলতা র পর,
•২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে, অবশেষে অযোধ্যার এই জমিতে ই রাম মন্দির এর ভিত্তি স্থাপন করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে ঐতিহাসিক রায় দেন। এবং আগামী ৩ মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে একটি স্কিম তৈরি করতে হবে।
তার ভিত্তিতে একটি বোর্ড অব ট্রাস্ট তৈরি হবে,যারা ওই জমিতে মন্দির নির্মাণ করবে।

মসজিদের জন্য অন্যত্র ৫ একর জমি দেবার আদেশ দেন।

** Copyright policy by Rahul Chatterjee Website!

No comments:

Post a Comment